সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Facebook, ফেসবুকের ইতিহাস, আবিষ্কারক এবং পরিচিতি

ফেইসবুক (ইংরেজি: Facebook) অথবা ফেসবুক (সংক্ষেপে ফেবু নামেও পরিচিত) বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।

মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তার কক্ষনিবাসী ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্‌স এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন। ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আরো পরে এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাই স্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সারা বিশ্বে বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন ২৫০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী

ফেসবুক তার চলার পথে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে।বাংলাদেশ, সিরিয়া, চায়না এবং ইরান সহ বেশ কয়েকটি দেশে এটা আংশিকভাবে কার্যকর আছে। এটার ব্যবহার সময় অপচয় ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মচারীদের নিরুৎসাহিত করে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেসবুক ওয়েবসাইট কে আইন জটিলতায় পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার জাকারবার্গের সহপাঠী কর্তৃক, তারা অভিযোগ এনেছেন যে ফেসবুক তাদের সোর্স কোড এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে।

ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী ফেসবুকের মূলধন ২১২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে উঠেছে


ইতিহাস

মার্ক জাকারবার্গ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বর্ষ চলাকালীন সময়ে, ২৮ অক্টোবর ২০০৩ এ তৈরি করেন ফেসবুকের পূর্বসূরি সাইট ফেসম্যাস। এতে তিনি হার্ভার্ডের ৯ টি হাউস এর শিক্ষার্থীদের ছবি ব্যবহার করেন। তিনি দুইটি করে ছবি পাশাপাশি দেখান এবং হার্ভার্ডের সব শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে বলেন। কোন ছবিটি হট আর কোনটি হট নয়। 'হট অর নট'। এজন্য মার্ক জাকারবার্গ হার্ভার্ডের সংরক্ষিত তথ্য কেন্দ্রে অনুপ্রবেশ বা হ্যাক করেন। ফেসম্যাস সাইট এ মাত্র ৪ ঘণ্টায় ৪৫০ ভিজিটর ২২০০০ ছবিতে অন লাইন এর মাধ্যমে ভোট দেন।

  • ২০০৪: ফেসম্যাস হতে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০৪ এর জানুয়ারিতে মার্ক তার নতুন সাইট এর কোড লেখা শুরু করেন এবং ফেব্রুয়ারিতে হার্ভার্ডের ডরমিটরিতে দ্যফেসবুক.কম এর উদ্বোধন করেন। শীঘ্রই মার্ক জাকারবার্গ এর সাথে যোগ দেন ডাস্টিন মস্কোভিৎজ (প্রোগ্রামার), ক্রিস হুগেস ও এডোয়ার্ডো স্যাভেরিন (ব্যবসায়িক মুখপাত্রও) এবং অ্যান্ডরু ম্যাককলাম (গ্রাফিক্ আর্টিস্ট)। জুনে প্যালো আল্টোতে অফিস নেওয়া হয়। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছায়।
  • ২০০৫: আগস্টে ‘দ্য ফেসবুক ডটকম’ নাম পাল্টে কোম্পানির নাম রাখা হয় শুধু ‘ফেসবুক’। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ৫৫ লাখে।
  • ২০০৬: কৌশলগত কারণে আগস্টে ফেসবুকের সঙ্গে মাইক্রোসফট সম্পর্ক স্থাপন করে। সেপ্টেম্বর থেকে সর্বসাধারণের জন্য ফেসবুক উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আগে শুধু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই ছিলেন এর ব্যবহারকারী। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি ২০ লাখে।
  • ২০০৭: ফেব্রুয়ারিতে ভার্চুয়াল গিফট শপ চালু হয়। এপ্রিলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছায় দুই কোটি।
  • ২০০৮: কানাডা ও ব্রিটেনের পর ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স ও স্পেনে ফেসবুকের ব্যবহার শুরু হয়। এপ্রিলে ফেসবুক চ্যাট চালু হয়। আগস্টে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ কোটিতে।
  • ২০০৯: জানুয়ারিতে ব্যবহারকারী ১৫ কোটি। ডিসেম্বরে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৫ কোটিতে।
  • ২০১০: ফেব্রুয়ারিতে যে সংখ্যা ছিল ৪০ কোটি, জুলাইয়ে সেই সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। আর ডিসেম্বরে এ সংখ্যা ৫৫ কোটিতে পৌঁছায়

আয়

ফেসবুকের বেশিরভাগ আয় হয় বিজ্ঞাপন থেকে। ফেসবুকে সাধারণত অন্যান্য প্রধান ওয়েবসাইট থেকে কম ক্লিক থ্রু রেট (সিটিআর) রয়েছে। বিজনেসউইক.কমের মতে ফেসবুকের ব্যানার বিজ্ঞাপনে পাঁচ ভাগের একভাগ ক্লিক পড়ে অন্য ওয়েবের তুলনায়, যদিও সত্যিকার বিশেষ তুলনায় এটা অসম হতে পারে। উদাহরণসরূপ, যেখানে গুগল ব্যবহারকারী খোঁজার ফলাফলের প্রথম বিজ্ঞাপনের লিংকগুলোতে ক্লিক করে গড় হিসেবে ৮% (৮০০০০ ক্লিক প্রতি এক মিলিয়ন সার্চে) সেখানে ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে গড়ে ০.০৪% (৪০০ ক্লিক প্রতি এক মিলিয়ন পাতায়)

সারাহ স্মিথ, যিনি ফেসবুকের অনলাইন বিক্রয় কার্যের ব্যবস্থাপক ছিলেন ২০১২ পর্যন্ত, প্রতিবেদন করেছিলেন যে সাইটে বিজ্ঞাপন সফলতার হার ছিল ০.০৫% থেকে ০.০৪% এবং বিজ্ঞাপন সিটিআর দুই সপ্তাহের মধ্যেই কমে যাওয়ার প্রবণতা ছিল।

ফেসবুকের কম সিটিআর হওয়ার কারণ হল তরুণ ব্যবহারকারিদের বিজ্ঞাপন বন্ধের সফটওয়্যার এবং বিজ্ঞাপন এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা সেই সাথে যোগ করা যায় সাইটটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য যা ছিল শুধুমাত্র একটি সামাজিক যোগাযোগের সাইট থাকা শুধুমাত্র বিষয়বস্তু দেখার বদলে। ডিজিটাল পরামর্শ দাতা আইস্ট্রেটেজি ল্যাবের মতে ২০১৪ সালের জানুয়ারির মধ্যভাগে ১৩ থেকে ১৭ বছরের তরুণরা ফেসবুকের সামাজিক বিজ্ঞাপনের কর্মসূচিতে যাদের সংখ্যা ছিল মাত্র তিন মিলিয়ন।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ফ্রাঙ্ক এন. মজিদ এবং সহযোগিদের প্রতিবেদনে বলা হয় ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়স্ক ব্যবহারকারির সংখ্যা ৮৮% নেমে এসেছে যা ২০১৩ সালে ছিল ৯৪% এবং ২০১২ সালে ছিল ৯৫%


ব্যবহারকারি জীবনলেখ্য (প্রোফাইল)

একক ব্যবহারকারি পাতার ফরমেটটি ২০১১ সালের শেষের দিকে পুর্নগঠন করা হয় এবং যা পরবর্তীতে হয় প্রোফাইল অথবা ব্যক্তিগত টাইমলাইন হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে। ব্যবহারকারিরা তাদের প্রোফাইল ছবি, চিত্র, ব্যক্তিগত আগ্রহ, যোগাযোগ ঠিকানা, জীবনের স্মরনীয় ঘটনা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন: চাকুরি তথ্য) সহকারে তৈরি করতে পারে। ব্যবহারকারিরা একে অন্যের সাথে উন্মুক্ত এবং গোপনীয়ভাবে যোগাযোগ করেতে পারে বার্তা ও চ্যাটের সাহায্যে। এছাড়া ওয়েব সাইট ঠিকানা, ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করে নিতে পারে। ২০১২ সালে পিউ ইন্টারনেট এবং আমেরিকান লাইফ স্টাডি চিহ্ণিত করেন যে ২০ থেকে ৩০ ভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারি হল "শক্তিশালী ব্যবহারকারি" যারা ঘনঘন লিংক, পোক, পোস্ট এবং ট্যাগিং সহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করেন নিজের এবং অন্যের সাথে।

২০০৭ সালে ফেসবুক যাত্রা করে ফেসবুক পৃষ্ঠার (যাকে ভক্তদের পাতাও ডাকা হয়) যার উদ্দেশ্য ছিল ব্যবহারকারিদের ব্যবসায় এবং কোম্পানির সাথে মিথস্ক্রিয়ায় জড়ানো যা তারা অন্য যেকোন ফেসবুক ব্যবহারকারির প্রোফাইলের সাথে করে থাকে। ৬ই নভেম্বর ২০০৭ সালে ১০০,০০০ বেশি ফেসবুক পৃষ্ঠা তৈরি করা হয়েছিল।

মাইস্পেসের সাথে তুলনা

গণমাধ্যমগুলো অনেকসময় ফেসবুককে মাইস্পেসের সাথে তুলনা করে কিন্তু তাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ন পার্থক্য হল পরিবর্তন করার স্তর। অন্য একটি পার্থক্য হল ফেসবুক ব্যবহারকারিদের আসল পরিচয় চায় যা মাইস্পেসে করা হয় না। মাইস্পেসে ব্যবহারকারি তার প্রোফাইল এইচটিএমএল এবং সিএসএসের সাহায্যে সাজাতে পারে কিন্তু ফেসবুক শুধুমাত্র লেখা ভিত্তিক। ফেসবুকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রাখা আছে যার ফলে ব্যবহারকারিরা সেগুলোর দিয়ে নিজেদের প্রকাশ করতে পারে। এতে আছে ওয়াল যাতে ব্যবহারকারি নিজে এবং তার বন্ধুরা তাতে বার্তা প্রকাশ করতে পারে যাতে ব্যবহারকারি তা দেখে। আছে পোক বৈশিষ্ট্য যা একজন আরেকজনের কাছে ভার্চুয়ালি পাঠাতে পারে (একটি বিজ্ঞপ্তি ব্যবহারকারিকে জানিয়ে দেয় যে অন্য ব্যবহারকারি তাকে পোক করেছেন)। ছবি আপলোড করে ব্যবহারকারি এ্যালবাম সাজাতে পারেন], আর স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ব্যবহারকারি তার বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন কর্মকান্ড ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। গোপনীয়তার সেটিংয়ের উপর ভিত্তি করে যদি কেউ প্রোফাইল দেখতে পারে তবে সে তার ওয়ালে কি আছে তাও দেখতে পারে। জুলাই ২০০৭ সালে, ফেসবুক ওয়ালে সংযুক্তি যোগ করার সুবিধা দিয়েছে যেখানে আগে শুধু মাত্র লেখা লিখা যেত।

খবর/নিউজ ফিড

৬ই সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে খবরের বিষয়টি প্রকাশিত হয় যা প্রতিটি ব্যবহারকারির হোমপৃষ্ঠা আসে এবং বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে যেমন প্রোফাইলে কোন পরিবর্তন, আগত কোন ইভেন্ট বা বন্ধুদের জন্মদিনের খবর ইত্যাদি। এটি স্প্যামারদেরসহ অন্যান্য ব্যবহাকারিদের এই বৈশিষ্ট্যটি বাজেভাবে ব্যবহারের সুবিধা করে দিয়েছে যেমন অবৈধভাবে ইভেন্ট তৈরি বা ভুয়া জন্মদিনের তথ্য দিয়ে অন্য ব্যবহারকারিদের মনোযোগ আকর্ষন করা ইত্যাদি। শুরুতে ফেসবুকের এই খবরের বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহারকারিদের অসন্তুষ্ট করে, কিছু ব্যবহারকারি একে বিশৃঙ্খল এবং অনিচ্ছাকৃত তথ্য ভরপুর হিসেবে অভিযোগ করে, অন্যরা বুঝতে সক্ষম হয় যে এর ফলে একক কোন ব্যক্তির কর্মকান্ড (সম্পর্কের অবস্থার পরিবর্তন, ইভেন্ট, অন্যদের সাথে যোগাযোগ/কথা বলা) অনুসরণ অন্যদের বুঝতে পারার বিষয়টি খুবই সহজ হয়ে গেছে

নোট

২০০৬ সালের আগস্টের ২২ তারিখ ফেসবুক নোট চালু করা হয়, যা মূলত একটি ব্লগিং বৈশিষ্ট্যের ধারক। এটিতে ট্যাগ এবং ছবি যোগ করা যায়। ব্যবহাকারিরা পরবর্তীতে তাদের জাংগা (Xanga), লাইভজার্নাল, ব্লগার এবং অন্যান্য ব্লগিং সেবা থেকে ব্লগ আমদানি করতে পারার সুবিধা যোগ হয়।

চ্যাট

২০০৮ সালের ৭ই এপ্রিলের সপ্তাহে কমেট ভিত্তিক তাৎক্ষনিক বার্তা আদান প্রদান এ্যাপ্লিকেশ চালু করে যা চ্যাট নামে পরিচিত বিভিন্ন নেটওয়ার্কে এটি ব্যবহাকারিদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ দেয় আর এটির ডেস্কটপ ভিত্তিক তাৎক্ষনিক বার্তার এ্যাপ্লিকেশনের সাথে মিল রয়েছে।

উপহার

২০০৭ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি ফেসবুক উপহার সেবাটি চালু করে। যাতে ব্যবহারকারি বিভিন্ন উপহার তাদের বন্ধুদের পাঠাতে পারে। প্রতিটি এক ডলার করে দাম এবং এর সাথে প্রেরকের নিজস্ব বার্তা জুড়ে দেওয়া যায়।

বাজার/মার্কেটপ্লেস

২০০৭ সালের ১৪ই মে ফেসবুক তাদের বাজার বা মার্কেটপ্লেস চালু করে। এতে ব্যবহারকারিরা ফ্রি শ্রেণীবিনস্ত বিজ্ঞাপন দিতে পারে। মার্কেটপ্লেসটিকে ক্রেইগলিস্টের সাথে তুলনা করে সিনেট.কম এবং দুটোর তুলনা হিসেবে দেখায় যে মার্কেটপ্লেসে ব্যবহারকারিরা একই নেটওয়ার্কে থাকলে বিজ্ঞাপন দেখবে আর ক্রেইগলিস্টে যেকেউ এটি দেখতে পারবে।

বার্তা

একটি নতুন বার্তার পথ যার নাম প্রজেক্ট টাইটান চালু করা হয় ১৫ই নভেম্বর ২০১০ সালে। কয়েকটি প্রকাশনা এটিকে জিমেইল হত্যাকারি হিসেবে অভিহিক করে, এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ব্যবহারকারিরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে ফেসবুক দিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে (যার মধ্যে আছে বিশেষ ইমেইল ব্যবস্থা, লেখ্য বার্তা অথবা ফেসবুক ওয়েবসাইট বা মোবাইল এ্যাপ দিয়ে)। যে পদ্ধতিই হোক না কেন তা ইনবক্সে একটি একক সূত্র বা থ্রেড হয়ে জমা হয়। অন্যান্য ফেসবুক বৈশিষ্ট্যের মত ব্যবহারকারি এখানেও কার থেকে বার্তা গ্রহণ করবে তা ঠিক করে দিতে পারে তা হতে পারে শুধু বন্ধু, বন্ধুর বন্ধু অথবা যে কেউ। ইমেইল সেবাটি ২০১৪ সালে কম ব্যবহারের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।

ফেসবুক ওয়েবসাইট ছাড়াও বার্তাগুলো মোবাইল এ্যাপ থেকে ব্যবহার করা যায়। এর জন্য ফেসবুকের একান্ত একটি এ্যাপ রয়েছে যা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার নামে পরিচিত।

ভয়েস কল

২০১১ সালে এপ্রিল থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারিরা লাইভ ভয়েস কল করতে পারেন ফেসবুক চ্যাট দিয়ে, যা দিয়ে সারা বিশ্বের ব্যবহারকারিরা একে অন্যের সাথে চ্যাট করতে পারেন। এই বৈশিষ্ট্য টি-মোবাইলের নতুন ববস্লেড সেবার আওতায় ফ্রি ব্যবহার করা যায় যার ফলে ব্যবহারকারিরা ভয়েস চ্যাট করতে পারে এবং ভয়েস বার্তা রেখে দিতে পারে।

ভিডিও কল

২০১১ সালের ৬ই জুলাই ফেসবুকের ভিডিও কল সেবা চালু করা হয় স্কাইপকে তাদের প্রযুক্তি অংশীদার করে। এতে স্কাইপ রেস্ট এপিআই ব্যবহার করে এক-থেকে-এক ব্যবস্থায় কল করা যায়।

ভিডিও দেখা

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফেসবুক ঘোষণা করে তারা প্রতিদিন ১ বিলিয়ন ভিডিও দেখার সুবিধা প্রদান করছে এবং ব্যবহারকারি, পাতা, এবং জনপ্রতিনিধিদের যে সব ভিডিও উন্মুক্ত সেগুলোর গণনা দেখাবে সবাইকে দেখার সুবিধা যোগ করবে। কোন ব্যবহারকারি একটি ভিডিও দেখার পর আরেকটি বাড়তি ভিডিও দেখার সুপারিশ করার বিষয়টি ফেসবুক নিশ্চিত করে। ৬৫ ভাগ ফেসবুকের ভিডিও দেখা হয় ফেসবুক মোবাইল থেকে যার ব্যবহারকারি দিন দিন বাড়ছে এবং ভিডিও দেখার হার ৫০ ভাগে এসে যায় মে থেকে জুলাই মাসে যখন আইসবাকেট চ্যালেঞ্জের হিড়িক পড়ে ফেসবুকে।

অনুসরণ

২০১১ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর ফেসবুকে ব্যবহারকারি পাতায় "সাবস্ক্রাইব" বোতাম যোগ করে যা অন্য ব্যবহারকারিদের সাবস্ক্রাইব করা ব্যবহারকারির উন্মুক্ত পোস্টগুলো দেখার সুযোগ করে দেয়।এর সাথে ২০১২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পরিচিতি যাচাইয়ের সুবিধা যোগ করে বিশেষ বিশেষ একাউন্টের ক্ষেত্রে। টুইটারের মত যাচাইকৃত পাতাগুলো কোন বিশেষ যাচাইয়ের তকমা রাখে না, কিন্তু সাবস্ক্রিপশনের সুপারিশে অধিক অগ্রাধিকার দেয়।

২০১২ সালের ডিসম্বরে ফেসবুক ঘোষণা করে ব্যবহারকারিদের দ্বিধার কথা মাথায় রেখে তারা সাবস্ক্রাইব বোতামকে "ফলো" বোতামে প্রতিস্থাপন করে যার ফলে অন্যান্য সামাজিক নেটওয়ার্কের সাথে এতেও মিল থাকে। 

গোপনীয়তা

এফটিসি নিষ্পত্তি

২০১১ সালের ২৯শে নভেম্বর, ফেসবুক ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশনের অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য রাজি হয়। অভিযোগটি ছিল ফেসবুক ব্যবহারকারিদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।





প্রযুক্তিগত রূপ

২০১৪ সালের ২০শে মার্চ ফেসবুক ঘোষণা করে একটি নতুন মুক্তি উৎসের প্রোগ্রামিং ভাষা "হ্যাকের" কথা। জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করার আগে ফেসবুকের একটি বড় অংশ এই নতুন ভাষা দ্বারা পরিক্ষন এবং একই সাথে চালানো হচ্ছিল।

ফেসবুক মোমেন্টাম প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের বার্তা ব্যবস্থার জন্য যা দির ইমেইল তার ব্যবহারকারিদের কাছে প্রতিদিন পাঠায়।

পছন্দ বোতাম

সামাজিক নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য হল লাইক বোতামটি যার দ্বারা ব্যবহারকারিরা তাদের সাধুবাদ জানায় স্ট্যাটাস আপডেটে, কমেন্টে, ছবিতে এবং বিজ্ঞাপনে। এটি একই সাথে ফেসবুক প্লাটফর্মের একটি সামাজিক প্লাগইন, যা শুরু করা হয় ২১শে এপ্রিল ২০১০ সালে। যার ফলে অংশগ্রহণকারি ইন্টারনেট ওয়েবসাইটগুলোকে একই রকম লাইক বোতাম প্রদর্শন করার সক্ষমতা দেয়।

ফেসবুক বাগ বাউন্টি কর্মসূচি

ফেসবুকের একটি "হোয়াইট হ্যাট" ডেবিট কার্ড, গবেষকরা যা নিরাপত্তা ঝুঁকি ধরিয়ে দেবার বিনিময়ে প্রদান করে

২৯শে জুলাই ২০১১ সালে ফেসবুক তাদের বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম ঘোষণা করে যাতে নিরাপত্তা গবেষকদের সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার দেয়া হবে ফেসবুকের কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি বের করতে পারলে। ফেসবুক হোয়াইটহ্যাট পাতায় বলা আছে: "যদি তুমি তোমার প্রতিবেদনের জন্য যথার্থ সময় দিতে পার বিষয়টি জন সম্মুখে প্রকাশের পূর্বে এবং বিশ্বাসযোগ্য ভাল চেষ্টা চালাও গোপনীয়তা ভঙ্গ এড়াতে, ডাটা ধ্বংস এবং তোমার গবেষণার সময় আমাদের সেবাতে বাধা বা মর্যাদাহানি না কর, আমরা তোমার বিরুদ্ধে কোন মামলা করব না বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব না তোমাকে তদন্ত না করতে" 

বিশ্বব্যাপি অভ্যর্থনা

সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক দেশ অনুযায়ী

কমস্কোরের মতে, মাসিক অনন্য ভিজিটরের ভিত্তিতে ফেসবুক প্রধান সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট এবং তার ফলে এটি মাইস্পেসকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ২০০৮ সালে এপ্রিলে। কমস্কোর আরো বলে, ফেসবুক ১৩০ মিলিয়ন অনন্য ভিজিটরকে আকর্ষিত করেছে মে ২০১০ সালে যা ৮.৬ মিলিয়ন লোকের সমাগম। এ্যলেক্সার মতে, ওয়েবসাইটটির পদমর্যাদা ৬০তম থেকে ৭মে এসেছে সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালের মধ্যে এবং বর্তমানে ২য়। কোয়ান্টকাস্ট ফেসবুককে ২য় পদসারির সাইট বলেছে আমেরিকায় এবং কমপিট.কম একে ২য় স্থানে রেখেছে আমেরিকায়। এটি আপলোডের জন্যও জনপ্রিয় প্রায় ৫০ বিলিয়ন আপলোডের ক্রমবর্ধমান হিসাবে।

২০১৩ সালের জানুয়ারিতে, দেশভিত্তিক বেশিরভাগ ব্যবহারকারি ফেসবুকে ছিল:

  • আমেরিকায় ১৬৮.৮ মিলিয়ন সদস্য
  • ব্রাজিলে ৬৪.৬ মিলিয়ন সদস্য
  • ভারতে ৬২.৬ মিলিয়ন সদস্য
  • ইন্দোনেশিয়ায় ৫১.৪ মিলিয়ন সদস্য
  • মেক্সিকোতে ৪০.২ মিলিয়ন সদস্য

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ   জন্ম: 14 মে, 1984) একজন আমেরিকান প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং সমাজসেবী। জুকারবার্গ ফেসবুকের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং শীর্ষস্থানীয় হিসাবে পরিচিত তিনি সহ-প্রতিষ্ঠিত এবং সোলার পাইল মহাকাশযান উন্নয়ন প্রকল্প ব্রেকথ্রু স্টারশোটের বোর্ড সদস্যও রয়েছেন। নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইনে জন্মগ্রহণকারী, জাকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন, যেখানে তিনি কলেজের রুমমেট এডুয়ার্ডো সাভারিন, অ্যান্ড্রু ম্যাকক্লাম, ডাস্টিন মোসকোভিজ এবং ক্রিস হিউজেসের সাথে তার ফরোয়ার্ডের ছাত্রাবাস থেকে ফেসবুক চালু করেছিলেন। কলেজ ক্যাম্পাস নির্বাচন করার জন্য প্রাথমিকভাবে চালু করা হয়েছিল, সাইটটি দ্রুত এবং শেষ পর্যন্ত কলেজগুলির ছাড়িয়ে প্রসারিত হয়েছে, ২০১২ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন ব্যবহারকারী পৌঁছেছে। জুকারবার্গ মে ২০১২-এ সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার নিয়ে জনসাধারণকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছিল। 24 অক্টোবর, 2019 পর্যন্ত তার মোট সম্পদ .7 71.7 বিলিয়ন বলে ধরা হয়েছে, যা পুরো বছর ফেসবুক স্টকের সাথে বেড়েছে increasing 2007 সালে 23 বছর বয়সে তিনি বিশ্বের

When HSC Result 2020 will publish?

  এ বছর 5.54 লক্ষ পুরুষ শিক্ষার্থী এবং 5.65 লক্ষ মহিলা শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বিদেশে ((সাত) কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে ২ 262 জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। দিনের প্রথমার্ধে পরীক্ষাগুলি সকাল দশটায় শুরু হয়ে দুপুর ১ টা অবধি চলবে, দিনের দ্বিতীয়ার্ধে পরীক্ষা শুরু হবে ২: সন্ধ্যা 00 টা ৩০ মিনিটে এবং শেষ হবে বিকেল ৫ টা ৫০ মিনিটে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের স্ক্রাইবদের সহায়তায় তাদের উত্তর লিখতে আরও 20 মিনিট সময় দেওয়া হবে। যাদের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে অতিরিক্ত 30 মিনিটের পাশাপাশি তাদের বাবা-মা, শিক্ষক বা কোনও সহায় সহায়তার সাথে অনুমতি দেওয়া হবে। সাধারণভাবে, শিক্ষা বোর্ড নিয়ম করেছে যে বাংলাদেশের সকল পাবলিক বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষা দিন পরে বা শেষ রচনা পরীক্ষা শেষ করার দিনের পরে প্রকাশ করা উচিত। এইচএসসির ফলাফল 30/31 জানুয়ারী 2021-এ প্রকাশিত হবে already আপনি ইতিমধ্যে জানেন যে, এইচএসসি পরীক্ষা 2020 2020 সালে শুরু হয়েছিল এবং 15-06-2020 এ শেষ হয়েছে। এইচএসসি ফলাফল 2020 প্রকাশের তারিখ বাংলাদেশ এই বছর, এইচএসসি ফলাফল 2020 30/31 জানুয়ারী 2021 প্রকাশিত হবে

Mobile phone

একটি প্রাথমিক স্মার্টফোনে মোবাইল ফোন বিবর্তন একটি মোবাইল ফোন, সেল ফোন, সেলফোন, বা হ্যান্ড ফোন, কখনও কখনও কেবল মোবাইল, সেল বা জাস্ট ফোনে সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয় এমন একটি পোর্টেবল টেলিফোন যা ব্যবহারকারী টেলিফোনের পরিষেবা অঞ্চলে চলার সময় একটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি লিঙ্কের মাধ্যমে কল করতে এবং কল পেতে পারে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি লিঙ্কটি একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের স্যুইচিং সিস্টেমগুলির সাথে সংযোগ স্থাপন করে, যা পাবলিক স্যুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) এ অ্যাক্সেস সরবরাহ করে। আধুনিক মোবাইল টেলিফোন পরিষেবাগুলি একটি সেলুলার নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার ব্যবহার করে এবং তাই মোবাইল ফোনগুলি উত্তর আমেরিকাতে সেলুলার টেলিফোন বা সেল ফোন বলে। টেলিফোনি ছাড়াও, 2000s-যুগের মোবাইল ফোনগুলি পাঠ্য বার্তা, এমএমএস, ইমেল, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস, স্বল্প-পরিসীমা বেতার যোগাযোগ (ইনফ্রারেড, ব্লুটুথ), ব্যবসায়িক অ্যাপ্লিকেশন, ভিডিও গেম এবং ডিজিটাল ফটোগ্রাফির মতো বিভিন্ন পরিষেবা সমর্থন করে support কেবলমাত্র সেই ক্ষমতাগুলি সরবরাহ করে এমন মোবাইল ফোনগুলি বৈশিষ্ট্য ফোন হিসাবে পরিচিত; যে মোবাইল ফোনগুলি প্রচুর পরিমাণে উন্নত কম্প